বুকে ব্যথার লক্ষণ কি - বুকে ব্যথার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার

বর্তমান সময়ে বুকে ব্যথার লক্ষণ কি এবং এর জন্য ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা বুকে ব্যথার লক্ষণ কি এবং বুকে ব্যথার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে জানব। বুকে ব্যথার সমস্যা খুবই জটিলতর সমস্যা হওয়ার পূর্বেই বুকে ব্যথার লক্ষণ কি এবং জন্য ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
যাদের সব সময়ই বুকে ব্যথা নিয়মিত থাকে তারা এটিকে অবহেলা না করে সঠিক চিকিৎসা নিবেন। বুকে ব্যথা শুধু হার্ট অ্যাটাকের সমস্যাই না আরও অনেক কারণেই সমস্যাটি বেড়ে যেতে পারে। এই সমস্যা থেকে যদি আপনি নিজেকে বাঁচাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বুকে ব্যথার লক্ষণ কি এবং এর ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা জরুরী।

পেজ সূচিপত্র

বুকে ব্যথার লক্ষণ কি

আপনার বুকে ব্যথা অনেক সময় জটিল কোন সমস্যা থেকেও হতে পারে। এর কোন নির্দিষ্ট সময় নেই যে কখন বুকে ব্যথা করতে পারে। যেকোনো সময় আপনার শরীরে বুকে ব্যথার লক্ষণ কি এবং বুকে ব্যথার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার প্রয়োজন হতে পারে। তাই দেরি না করে হঠাৎ যদি আপনার বুকে ব্যথা উঠে যায় তাহলে অবশ্যই কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবে যেমন,

  • বারবার আপনার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হবে।
  • বুকের মধ্যে প্রচন্ড চাপ বা টানটান অনুভব হবে।
  • অনেক বেশি পরিশ্রম করার সময় বুকে ব্যথা হতে পারে।
  • পেটে ব্যথার ফলেও বুকে ব্যথা হতে পারে।
  • জ্বর, হাঁচি, কাশি ও ঠান্ডার ফলেও বুকে ব্যথা করতে পারে।
  • বমি বমি ভাব হলেও বুকে ব্যথা করতে পারে।
  • অনেক সময় আপনার হার্টবিট যদি কমে যায় সেক্ষেত্রেও বুকে ব্যথা করতে পারে।
  • মাথাঘোরা, ক্লান্তি ও অবসাদের ফলে বুকে ব্যথা করতে পারে।
  • পিঠের ব্যথার ফলে বুকের সামনের দিকে অনেক সময় ব্যথা অনুভব হয়।
  • দুশ্চিন্তা বুকে ব্যথার আরেকটি লক্ষণ হতে পারে।
  • মুখে যদি অ্যাসিডিটি ভাব হয় ও টক ঢেঁকুর স্বাদ অনুভব হয়।
  • অনেক সময় খাবার গিলতে সমস্যা হলেও বুকে ব্যথা করতে পারে।

বুকে ব্যথার কারণ 

মনে করুন, আপনার শরীরে কোন ব্যথা নিয়মিত করছে বিশেষ করে বুকে ব্যথা। কিন্তু আপনি বুঝতে পারছেন না হঠাৎ করেই কেন আপনার বুকে ব্যথা হচ্ছে। অনেক সময় শরীরে সাধারণ কোন সমস্যা থেকেই বুকে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। অনেক কারণেই আমাদের বুকে ব্যথা করতে পারে। বুকে ব্যথার গুরুতর কিছু কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা যেতে পারে।

আমাদের দেহের মধ্যে যে ফুসফুস রয়েছে সেখানে হৃদপিণ্ড অবস্থান করছে যার মধ্যে খাদ্যনালী রয়েছে। অনেক সময় এই বুকে ব্যথা মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের বেশি হয়ে থাকে বিশেষ করে পঁয়তাল্লিশের বেশি বয়স হলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

আবার, অনেক সময় মহিলাদের ক্ষেত্রে মেনোপজ হওয়ার পরে এই ধরনের ঝুঁকির আশঙ্কা থাকতে পারে। বুকে ব্যথার লক্ষণ কি এবং বুকে ব্যথার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে ধারণা না থাকলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস, অনেক বেশি চর্বি রক্তে থাকলে, উচ্চ রক্তচাপ ও ধূমপানের ফলে বুকে ব্যথার প্রবণতা বাড়তে পারে। 

আরও পড়ুনঃ বুকে ব্যথার লক্ষণ কি - বুকে ব্যথার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার

যদি কখনো বুক ধরফর করার সমস্যাটিও দেখা দেয় অথবা খুব অল্পতেই যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় বুক চেপে ধরার সমস্যা হচ্ছে সেক্ষেত্রে হার্টের সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় একজন লোক সিঁড়ি দিয়ে উঠছে সে ক্ষেত্রে তার খুব হাঁপানি হচ্ছে এই জটিলতায়ও বুকে ব্যথা বাড়তে পারে।

আপনার যদি হাড় বা পেশীতে কোন ধরনের সমস্যা থেকে থাকে সেই ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা চাপ যুক্ত পেশির কারণে হতে পারে। অথবা আপনার পাঁজরের চারপাশে যদি ব্যথা বা ফোলাভাব থাকে তাহলেও বুকে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। আপনার মধ্যে যদি কোন আতঙ্ক কাজ করে কোন বিষয় নিয়ে তাহলে আপনার হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে যার ফলে বুকে ব্যথা হতে পারে। 

আপনার ফুসফুসে যদি কোন রকমের শ্বাসকষ্টের মত কোন সমস্যা থাকে তাহলে নিউমোনিয়ার যদি কোন প্রভাব থাকে সেই ক্ষেত্রেও বুকে ব্যথা করতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনের প্রভাবে বুকে ব্যথার সৃষ্টি হয় যার কারণে পরবর্তীতে জটিল সমস্যায় আপনাকে ভুগতে হয়।

বুকে ব্যথার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার

নিয়মিত বুকে ব্যথাকে অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই তাই এই ব্যথা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছানোর পূর্বেই আপনাকে বুকে ব্যথার লক্ষণ কি এবং বুকে ব্যথার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার এর জন্য ব্যবস্থা নিতে পারেন। বুকে ব্যথার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে বিশেষ কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো -

১। লেবুর রস খাওয়াঃ
বুকে ব্যথাকে কমিয়ে দিতে পারে এমন একটি জটিল কার্যকরী উপাদান হলো লেবু। লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এর পরিমাণ থাকায় শরীরের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। অল্প এক কাপ গরম পানির মধ্যে লেবু মিশিয়ে খেলে বুকে ব্যথা থেকে অনেকটুকু নিরাময় পাওয়া যায়। অনেক সময় যদি বুকে ব্যথা খুব বেশি হয়ে যায় তাহলে চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে।

২। রসুনের ব্যবহারঃ 
রসুনের ব্যবহার বুকে ব্যথার জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। অনেক সময় অনেকেই রসুনের আচার খেয়ে থাকে যা শরীরের জন্য খুবই ভালো। আপনি যদি নিয়মিত রসুনের কোয়া খাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে আপনার বুকে ব্যথার কোন ধরনের সম্ভাবনা থাকবে না। 

কারণ রসুনের কোয়া আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমিয়ে দিয়ে হার্টকে ব্লকেজ হওয়া থেকে রক্ষা করে। রসুনের কোয়া আপনি হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।

৩। তুলসীপাতার ব্যবহারঃ 
প্রায়ই দেখা যায় অনেকের বাড়িতে তুলসী গাছের মতো ঔষধি গাছ থাকে। আপনাদের যাদের বুকে ব্যথার সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন সকালবেলায় পাঁচ থেকে ছয়টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। তা যদি না পারেন তাহলে তুলসী পাতাকে ছেঁচে রস করেও খেতে পারেন যা আপনার বুকে ব্যথার নিরসন হিসেবে কাজ করবে।

৪। অ্যালোভেরার ব্যবহারঃ 
বুকে ব্যথা কমাতে অ্যালোভেরার অবদান অপরিহার্য। অ্যালোভেরার মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা হৃদরোগের সমস্যাকে দূরীভূত করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানির সাথে এক চামচ অ্যালোভেরার রস মিক্স করে খেলে আপনার বুকে ব্যথা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

৫। আপেল সিডার ভিনেগারঃ 
আপেল সিডার ভিনেগার আপনার শরীরের অ্যাসিডকে রিফ্লাক্স করতে এমনভাবে সাহায্য করে যার মাধ্যমে আপনার বুকে ব্যথা অনেকখানি কমে যায়।

৬। হলুদের উপকারিতাঃ 
আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে বুকের ব্যথাকে নিরসন করতে চান তাহলে হলুদ হতে পারে আপনার জন্য একটি কার্যকরী ঔষুধ। হলুদ এমনভাবে আপনার বুকে ব্যথাকে প্রতিরোধে সাহায্য করে যার ফলে আপনার ধমনীতে থাকা কোলেস্টেরল, শ্বেত রক্তকণিকা এবং ধমনীর প্রাচীরগুলো রোধ করতে অনেকখানি সাহায্য করে।

৭। বেকিং সোডার ব্যবহারঃ 
আপনার পাকস্থলীতে যদি অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে বেকিং সোডা অ্যাসিডের পরিমাণকে অনেকখানি কমিয়ে দেয়। যেমন, আপনি যদি ঠান্ডা বা গরম কোন পানির সাথে বেকিং সোডাকে  মিক্স করেন তাহলে পাকস্থলীর অ্যাসিডকে কমিয়ে দিয়ে এটি বুকের ব্যথাকে খুব ভালোভাবে কমাতে সাহায্য করে।

হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে করণীয়

আমাদের জীবনে প্রত্যেকটি মানুষেরই বুকে ব্যথার লক্ষণ কি তা জানা উচিত। হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা হতে পারে। যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা অ্যাসিডিটির সমস্যা মনে করে এই বুকে ব্যথাকে কমানোর জন্য অ্যান্টাসিড ওষুধকে খেয়ে থাকি। এটা কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য মোটেই ঠিক নয় কারণ আপনি যদি নিশ্চিত না থাকেন আপনার বুকে ব্যথা কেন হয়েছে তাহলে যে কোন সমস্যা হতে পারে। 

আমাদের সঠিক ধারণার অভাব থাকার ফলে অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের মত গুরুতর রোগের শিকার হতে হয়। অবশ্য বুকে ব্যথার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার না জানলে সমস্যা হবে। আপনার যত দিন যাবে ততই শরীরের অবস্থা জটিল হতে থাকবে। কারণ শারীরিক জটিলতার সমস্যা, তখনই বারে যখন আপনি তার জন্য সঠিক কোন চিকিৎসা না করবেন। 

আরও পড়ুনঃ গোলাপ জল কখন ও কিভাবে ব্যবহার করতে হয়

আপনার বুকে যদি কখনো চিনচিন করে ব্যথা ওঠে যায় তাহলে সেটাকে অবহেলা না করে চিকিৎসা নিন। বিশেষ করে মাঝে মাঝে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও হার্ট অ্যাটাকের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বুকে ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। কাজ করা অবস্থায় যদি বুকে ব্যথা উঠে যায় এবং বিশ্রাম নিলে যদি বুকে ব্যথা কমে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে অনেক সমস্যায় ভুগতে হয়।

শরীরে যদি আপনার অক্সিজেনের চলমান প্রক্রিয়া কমে যেতে থাকে তাহলে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে এই বুকে ব্যথার সৃষ্টি হয়। মধ্যবয়স্ক বা প্রাপ্তবয়স্ক কেউ যদি হাঁটা চলাফেরা করার সময় বুকে ব্যথার সৃষ্টি হয় তাহলে খুব গুরুত্বপূর্ণ সহকারে এটিকে নিতে হবে। তাই এই বুকে ব্যথার সমস্যা থেকে বাঁচতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা আপনার জন্য বিশেষভাবে করণীয়।

বুকে ব্যথার প্রাথমিক চিকিৎসা

আপনি যদি বুকে ব্যথার লক্ষণ কি তা না জানেন তাহলে চিকিৎসা নেওয়া সমস্যা হবে। বুকে ব্যথা কমানোর জন্য প্রাথমিক কোনো চিকিৎসা নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সঠিক উপায় অনুসরণ করতে হবে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিকে অনুসরণ করতে পারেন।

এছাড়াও খুব বেশি তীব্র বুকে ব্যাথা হলে কোন সংকোচ না করে প্রাথমিকভাবে ম্যাসাজ করতে পারেন। বুকে ব্যথার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে হালকা গরম পানির বোতল অথবা হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে বারবার সেঁক দিতে পারেন যা আপনার বুকে ব্যথাকে কমাতে সাহায্য করতে পারে। 

হালকা বুকে ব্যথার মধ্যে আপনি বিশ্রাম নিতে পারেন। যা আপনার ব্যথাকে কমিয়ে শরীরের দৈহিক কাঠামোকে একটু আরাম দিতে পারে। অনেকেই বুকের ব্যথাকে কমানোর জন্য পেইনকিলার নিয়ে থাকেন কিন্তু এই ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।

বুকে ব্যথা হলে কি ওষুধ খেতে হবে

বুকে ব্যথার লক্ষণ কি তা জেনে আপনাকে কি ধরনের ওষুধ খেতে হবে সেই সম্পর্কে আপনি একটি ধারণা নিতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তার দেখিয়ে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। আপনার মধ্যে চিন্তা ও টেনশনকে দূরীভূত করার ওষুধ খেতে হতে পারে। আপনার শরীরের রক্তকে পাতলা করার জন্য ওষুধ খেতে হবে যাতে আপনার বুকে ব্যথা কমে যায়।

অ্যাসিড রিফ্লাক্সের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টাসিড খেতে পারেন। বুকে ব্যথা অবস্থায় আপনাকে বিশ্রাম নিতে হবে এবং অত্যন্ত শান্ত হতে হবে। এমতাবস্থায় আপনি নাইট্রেট ওষুধ খেতে পারেন। ২৫০ গ্রাম অ্যাসিটিসালিসিলিক অ্যাসিড যেমন ডিসপেরিন, অ্যাসপিরিন ওষুধ খেতে পারেন।

গ্যাস্ট্রিকের কারণে বুকে ব্যথা

অনেক সময় আমাদের বুকের মাঝে ব্যথা হয়। কিন্তু এই ব্যথা ক্রমশ যদি বেড়ে যায়, তাহলে বুকে ব্যথার লক্ষণ কি? জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায়, টক ঢেকুর উৎপন্ন হয়ে পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে যা বুকের ব্যথাকে ধীরে ধীরে বাড়িয়ে দেয়। সাধারণত নিয়মিত খাবার না খেলেও এই ধরনের যন্ত্রণা হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা মূলত গ্যাস্ট্রিকের কারণেই হয়ে থাকে। 

মাঝে মাঝে অ্যান্টাসিড বা গ্যাস্ট্রিকের কোন ওষুধ খাওয়ার পর এই ব্যথা কমে যায়। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা খুব সহজেই কমানো যেতে পারে যেহেতু এটি শরীরের অন্য কোথাও এই ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা খুব বেশি একটা থাকে না। যদি আপনি নিয়মিত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে যান তাহলে একটা সময় আপনি গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা থেকে মুক্ত হতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ চুলের সমস্যায় কারি পাতার ঘরোয়া ব্যবহার

কিন্তু হার্টের ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবে ভুল করা যাবেনা সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে বুকে ব্যথার লক্ষণ কি সেই বিষয়ে বুঝে ব্যবস্থা নিন। কারণ হৃদরোগের প্রধান লক্ষণই হচ্ছে বুকের ভিতর প্রচন্ড ব্যথা করবে। এই ব্যথা খুবই তীব্র হয়ে থাকে যার ফলে অনেক রোগীরাই গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবে ভুল করে ফেলে। 

চিকিৎসা নিতে দেরি হওয়ার ফলে হৃদরোগের সমস্যা ধীরে ধীরে বেড়ে যায়। এই ব্যথা যদি নিয়মিত থাকে তাহলে রোগীর হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই বুকে ব্যথা হলে সেটি গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কিনা সেটা নিশ্চিত হয়ে তারপর চিকিৎসা নেবেন।

শেষকথা

এই পোস্টে আপনারা বুকে ব্যথার লক্ষণ কি এবং বুকে ব্যথার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার কি হতে পারে সেই বিষয়ে জানতে পারলেন। বুকে ব্যথা নিয়ে আপনাদের মাঝে সচেতনতা না সৃষ্টি হলে এটাকে কখনোই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না তাই আপনার আশেপাশের সকলকে এই ব্যাপারে সচেতন করুন। বিস্তারিত ভালো লেগে থাকলে নিচের অংশে মন্তব্য করুন। ২৫২৭৫

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url