কুল চাষের সহজ নিয়ম

আপনি কি কুল চাষের সহজ নিয়ম জানেন? যদি না জানেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনারই জন্য। আজ আমি কুল চাষের সহজ নিয়ম এ বিষয়ে আর্টিকেলটি লিখব। আপনি কুল চাষের সহজ নিয়ম জেনে বেশ উপকৃত হবেন এবং আশা করি কুল চাষ শুরু করবেন।
কুল চাষের সহজ নিয়ম
তাই কুল চাষের সহজ নিয়ম জানতে আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ুন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক কুল চাষের সহজ নিয়ম এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কুল চাষের সহজ নিয়ম

কুল চাষের সহজ নিয়ম

আজ আমি কুল চাষের সহজ নিয়ম নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। কুল একটি সুস্বাদু পুষ্টিকর ফল অনেক অঞ্চলে কুল বরই নামে পরিচিত। বাজারের সবচেয়ে নাম্বার ওয়ান হচ্ছে কাশ্মীরি আপেল কুল বরই এই কুল গাছ লাগানোর সময় বৈশাখ মাসের শুরু অথবা চৈত্র মাসের শেষে লাগানো ভালো। চলুন তাহলে কুল চাষের সহজ নিয়ম নিয়ে আলোচনা করি। 

প্রথমে গাছ লাগানোর জন্য এমন একটি জায়গা নির্ধারণ করতে হবে যেন সেখানে আলো বাতাস পর্যাপ্ত পরিমাণে পাই এবং বড় গাছের ছায়া না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, জায়গা নির্বাচনের পর সে জায়গায় যদি কোন আগাছা থাকে তাহলে সেগুলো পরিষ্কার করে নিতে হবে, তারপরে জায়গাটিকে মেপে নিতে হবে চারিদিকে ১৮ ইঞ্চি এবং গভীরতা ১৮ ইঞ্চি পরিমাপ করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ ওসিডি রোগের ঔষধ কতদিন খেতে হয় - ওসিডি থেকে মুক্তির উপায়

গর্ত করার পরে গর্তের ভিতর আমি বিভিন্ন ধরনের জৈব সার, পচা গোবর, খরকুটো, হাড়ের গুঁড়ো দিব দেওয়ার পরে আমি সাত থেকে দশ দিন পর্যন্ত রেখে দিব। তারপর একটু ভালো চারা সংরক্ষণ করে চারার সঙ্গে যে প্লাস্টিক থাকে সেটা খুলে নিতে হবে এবং সোজাভাবে বসিয়ে দিয়ে মাটি দিয়ে চেপে দিব। 

গাছটি লাগানোর সময় সন্ধ্যার দিকে গাছ লাগাতে হবে, না হলে বেশি রোদে গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। সপ্তাহে দুই দিন পর পর পানি দিতে হবে যেন গাছটি তাড়াতাড়ি বেঁচে উঠে। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই কুল চাষের সহজ নিয়ম বুঝতে পেরেছেন।

কুল গাছে সার প্রয়োগ

আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব কুল গাছের সার প্রয়োগ এই বিষয়টি নিয়ে। প্রথমবারের মতো সার প্রয়োগ করব কি কি সার কুল গাছের গোড়ায় দেব, সারটির পরিমাণ কত, কি কি কাজ করবে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। কুল গাছ লাগানোর ২২ দিন পর সার দিলে কোন সমস্যা নাই, কুলগাছে যে সারগুলো প্রয়োগ করবো সেগুলো হচ্ছে দানাদার বিশ, টি এস পি, ইউরিয়া ও গোবর সার।    

রোপনের সময় ১০-১২ দিন আগে পচা গোবর ২৫ কেজি টি এস পি সার ২৫০ গ্রাম, এম ও পি সার ২৫৫ গ্রাম এবং ইউরিয়া সার ২৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে ১ থেকে ২ বছর বয়সে গাছে গাছপতি পচা গোবর ১২ কেজি টিএসপি সার ২৫০ গ্রাম ও এম ও পি সার ২৫০ গ্রাম এবং ইউরিয়া সার ৩০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়। কুল গাছে সার প্রয়োগ করার নিয়ম জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

বছরে দুই থেকে তিন বার গাছে সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছে ফল আসা থেকে শুরু করে ফল সংগ্রহ ও শেষ হওয়া পর্যন্ত গাছে গাছের যত্ন নিতে হবে। বর্ষাকালে গাছে পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই, সার দেওয়ার পরে গাছে হালকা করে পানি দিলে গাছের জন্য ভালো। উপরোক্ত আলোচনা থেকে কুল চাষের সহজ নিয়ম এবং কুল গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।

কুল গাছের পরিচর্যা

কুল গাছের পরিচর্যা এ বিষয়টি নিয়ে আমি আর্টিকেলটি লিখব। কুল খুবই পছন্দের একটি জিনিস কুল পছন্দ করে না এমন কোন মানুষ নেই। কুলগাছে ফুল আসার সময় যে ধরনের পরিচর্যা করলে আপনি বেশি ফলন পাবেন এখন সেই সব বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করব। সাধারণত আগস্ট মাসে কুলগাছে ফুল চলে আসে এ সময় আপনি পরিচর্যা করলে ভালো ফলন ফলাতে পারবেন। কুল গাছের পরিচর্যা আরো পরিষ্কার ভাবে জানতে আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ুন।    

আরো পড়ুনঃ ১৫টি উপায়ে যেভাবে লম্বা হওয়া যায় - দ্রুত লম্বা হওয়ার উপায়

আপনি যদি এ সময় গাছে দেখেন ফুলের সঙ্গে সঙ্গে গুটি চলে আসে এবং এ সময় যদি আপনি গাছের সঠিক ভাবে পরিচর্যা করতে পারেন তাহলে আপনার কাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল ও ফল আসবে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের কুল চাষ করে করা হয়ে থাকে। দেশীয় পর্যায়ে থেকে বিভিন্ন ধরনের কুল আমাদের বাংলাদেশের চাষ হয়। বাংলাদেশের বাহিরে ইন্ডিয়াতেও কিন্তু একই পর্যায়ে কুল চাষ করা হয়। 

কুল গাছের যত্ন না করলে অনেক রকম রোগ হতে পারে এর কারণে ফলন কম হতে পারে। গাছকে পোকা মুক্ত করতে হবে কুল গাছের প্রধান পোকা হচ্ছে পিপড়া। আরেকটি পোকা আছে সেটি হল কচি পাতাগুলো খেয়ে ফেলে সেজন্য যে কোন কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি করে স্প্রে করবেন। গাছে যে কোন ধরনের পোকা দেখলে তখন স্প্রে করবেন সালফার ৮০% প্রতি লিটার পানিতে দুই গ্রাম। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কুল চাষের সহজ নিয়ম কি।

কুল গাছের উপকারিতা

আজ আমি কুল গাছের উপকারিতা এ বিষয় নিয়ে আর্টিকেলটি লিখব। কুল গাছের তেমন কোনো উপকারিতা নাই বরং ক্ষতিকর দিক আছে যেমন আপনার বাসায় যদি একটি কুল গাছ থাকে তাহলে কুল যখন পাকবে তখন বাড়ির চাল যদি টিনের হয় তাহলে বুঝবেন কেমন ঢিলের ধুপধাপ শব্দ সকাল বিকাল পড়তে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ কিসমিসের ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

কুল গাছের উপকারিতা বলতে কুল গাছের পাতা ও কুল গাছের ফল, কুল গাছের কাঠ আর গাছটি যখন ছেটে দেওয়া হয় তখন সে গাছের ডাল পালা খড়ি হিসাবে ব্যবহার হয়। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই কুল গাছের উপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

কুল গাছের রোগ

কুল গাছের রোগ এ সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য আপনি কি আর্টিকেলটি পড়ছেন? তাহলে আপনি সঠিক আরটিকালিটি পড়ছেন। আজ আমি এই আর্টিকেলে কুল গাছের রোগ এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই কুল পাওয়া যায় সব বয়সের মানুষই আমরা কুল খেয়ে থাকি। কুল গাছের রোগ গুলো নিম্নে বর্ণনা করলাম।

  • কুলের ফল ছিদ্রকারী পোকা।
  • কুলের পরগাছা সমস্যা।
  • কুলের পাতার উইভিল।
  • কুলের লাল মরিচা রোগ।
  • কুলের পাতা মোড়ানো পোকা।
  • কুলের উঁইপোকা।
  • কুলের পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা।
  • কুলের মাকড়।

উপসংহার

আমি এই আর্টিকেলটিতে কুল চাষের সহজ নিয়ম সহ কুল চাষের বিভিন্ন নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করি আপনারা উপকৃত হয়েছেন। কুল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল এর ফল নিয়মিত খেলে আমরা বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাবো।

আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url