বাচ্চাকে সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা শেখানোর টিপস
পেইজ সূচিপত্র
- বাচ্চাদের দাঁত ব্রাশের লক্ষণীয় কিছু বিষয়
- কিভাবে বাচ্চাকে দাঁত ব্রাশ শেখাবেন
- বাচ্চার জন্য সঠিক টুথপেস্ট কিভাবে নিবেন
- বাচ্চার দাঁতের যত্ন যেভাবে করবেন
- দুধ দাঁতের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা
- বাচ্চাদের দাঁত ব্রাশের অভ্যাস গড়ে তোলার উপায়
- শেষকথা
বাচ্চাদের দাঁত ব্রাশের লক্ষণীয় কিছু বিষয়
কিভাবে বাচ্চাকে দাঁত ব্রাশ শেখাবেন
আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে দাঁত ব্রাশ শেখাতে চান তাহলে অবশ্যই বাচ্চাকে সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা শেখানোর টিপস এর উপায়ে আপনাকে দাঁত ব্রাশ করা শেখাতে হবে। আপনার বয়স যখন ছয় মাস হয়ে যাবে তখন থেকেই বাচ্চার দাঁত উঠতে শুরু করে দেয়। যখনই বাচ্চাটির নতুন দাঁত উঠা শুরু হবে তখন আপনাকে সঠিক উপায়ে তার দাঁতের সেবা দিতে হবে।
কারণ এই সময়ই বাচ্চাদের দাঁত ব্রাশ করা শেখানোর উপযুক্ত সময়। আপনাকে এই সময়টি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। কারণ প্রাথমিকভাবে একটি বাচ্চাকে দাঁত ব্রাশ শেখানোর পর্যায় গুলো বাচ্চাটির পিতামাতাকে নিতে হয়। এই অনুযায়ী অবশ্যই আপনাকে বাচ্চার ব্রাশ করার বিষয়ে লক্ষ্য রেখে তাকে দাঁত ব্রাশ করা শেখাতে হবে। আসুন জেনে নিই দাঁত ব্রাশ করা শেখানোর পর্যায়গুলো।
১। একটি বাচ্চাকে অবশ্যই প্রথম দিক থেকে খেলারধুলার মতো করে দাঁত ব্রাশের প্রক্রিয়া শেখাতে হবে। খেলনার মাধ্যমে বাচ্চাদের অথবা নতুন নতুন কোন জিনিস দিয়ে বাচ্চাটিকে দাঁত ব্রাশ শেখানোর চেষ্টা করতে হবে। বাচ্চাটি ব্রাশ করার জন্য নাও চাইতে পারে সে ক্ষেত্রে সে কান্নাও করে দিতে পারে।
২। কিন্তু এই সমস্যার সম্মুখীন হলে আপনাকে বাচ্চাটির মতের বিরুদ্ধে যেয়ে শেখানো যাবে না। তাকে ধীরে ধীরে খেলার ছলে আপনার সাথে দাঁত ব্রাশ করা শেখানোর চেষ্টা করতে হবে। তাইলে আপনি নিজেও বাচ্চার সাথে এমন ভাব করুন যেন আপনিও দাঁত ব্রাশ করছেন।
৩। বাচ্চাটির তখনই দাঁত উঠতে থাকে তখনই সে অধিক সমস্যায় পড়তে পারে কারণ তার দাঁত উঠার জন্য দাঁতের মাড়িতে একটু একটু ব্যথা অনুভব করতে পারে যার সাথে জ্বরও চলে আসতে পারে।
৪। অবশ্যই এরকম সমস্যা হলে আপনার বাচ্চাকে খেলনার ছলে ঠান্ডা পানির মধ্যে তুলা অথবা কাপড় ভিজিয়ে মুখের বাহিরের দিকে হালকাভাবে মাড়ির দিকে স্পর্শ করার চেষ্টা করতে হবে।
৫। আপনার বাচ্চার যখন দাঁত উঠার সময় হবে তখন থেকেই ঠান্ডা কিছু দিতে পারেন অথবা মাড়িতে চিবিয়ে যেয়ে ভালো লাগবে এরকম কোন ফলও দিতে পারেন। তবে আবার বেশি ঠান্ডা কিছু দিয়ে ফেলবেন না যেন বাচ্চার সর্দি কাশি লেগে যায়।
৬। বাচ্চাকে সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা শেখানোর টিপস হিসেবে দাঁত যখনই উঠে পড়বে অথবা ওঠার আগে অল্প একটু কাপড় বা তুলো নিয়ে দাঁতের মাড়িতে ধীরে ধীরে পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন।
৭। বাচ্চা যতদিন পর্যন্ত বড় না হবে অর্থাৎ পাঁচ বছর বয়স না হলে বড়দের কোন ধরনের টুথপেস্ট দেয়া যাবে না। কারণ বাচ্চার দুধ দাঁত টুথপেস্ট এর মধ্যে যেই ফলুরাইড থাকে তা বেশ ক্ষতিকর হয়ে থাকে, তাই বাচ্চাকে সব সময় দুধ দাঁত পড়ে যাওয়া না পর্যন্ত বেবিজেল টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
৮। আপনি যখনই ব্রাশ করবেন আপনার বাচ্চাকে আপনার সাথে নিয়ে ব্রাশ করার চেষ্টা করবেন। আপনার বাচ্চা আপনার ব্রাশ করা দেখে দেখে সে নিজেও ব্রাশ করার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠবে।
বাচ্চার জন্য সঠিক টুথপেস্ট কিভাবে নিবেন
একটি বাচ্চার যখন ছয় মাস বয়স থেকেই দাঁত উঠা শুরু হয় তখন সে চাইলেই তাকে আপনি বড়দের কোন টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করাতে পারবেন না। কারণ এই বয়স থেকেই তার দাঁত ব্রাশ করানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হয় তাই সেই ক্ষেত্রে কিভাবে আপনি বাচ্চার জন্য সঠিক টুথপেস্টটি পছন্দ করবেন সেই বিষয়ে একটি ধারণা নিতে পারেন।
বাচ্চাকে সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা শেখানোর টিপস যেমন, বাচ্চার জন্য কোন রঙিন এবং আকর্ষণীয় ধরনের কোন টুথপেস্ট নিতে পারেন যা সে ব্রাশ করার সময় খুব মজা পাবে এবং বাচ্চাটি ব্রাশ করতে আগ্রহী হয়ে উঠবে। বাচ্চাদের জন্য এমন টুথপেস্ট নিতে হবে যেটা খুব সহজেই ঘষে তুলে ফেলা যায়। কখনোই কাঠ কয়লা টাইপের কোন টুথপেস্ট বাচ্চাকে দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুনঃ বাচ্চার বিছানায় প্রস্রাব বন্ধ করার চিকিৎসা
বাচ্চাকে সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা শেখানোর টিপস মেনে কোন মশলার স্বাদযুক্ত যেকোন ধরনের ভেষজ টুথপেস্ট থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। আপনি চাইলে বাচ্চাকে কোলগেট কিডস টুথপেস্ট অথবা বেবি জেল টুথপেস্ট দিতে পারেন বাচ্চার দাঁতকে খুবই শক্তিশালী করে তুলতে পারে। নিরাপদ হওয়ায় স্ট্রবেরি এবং বাবল গাম জাতীয় বিভিন্ন স্বাদের ব্রাশকে দিতে পারেন।
এছাড়াও হ্যালো ওরাল কেয়ার কিডস ফ্লোরাইড ফ্রি টুথপেস্ট, মিমি টুথপেস্ট, ডেন্টোশাইন জেল টুথপেস্ট, চিকো টুথপেস্ট, মামার্থ প্রাকৃতিক কমলার স্বাদযুক্ত টুথপেস্ট, পেডিফ্লোর অ্যাপল ফ্লেভার কিডস টুথপেস্ট বাচ্চাদের জন্য ক্রেস্ট কিডস ক্যাভিটি প্রোটেকশন টুথপেস্ট ইত্যাদি বাচ্চার ব্যবহারের জন্য নিয়ে আসতে পারেন।
বাচ্চার দাঁতের যত্ন যেভাবে করবেন
একটি বাচ্চার জন্মের সাথে সাথেই তার দাঁত উঠে না কিন্তু সে যখন গর্ভাবস্থায় থাকে তখন দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার থেকেই তার দাঁত গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। তাই একটি বাচ্চার দুধ দাঁত উঠার আগে থেকেই বাচ্চাকে সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা শেখানোর টিপস শুরু করতে হয়। বাচ্চার দাঁতের যত্ন যেভাবে করবেন তার জন্য বিশেষ কিছু পরামর্শ দেয়া হলো -
১। খাবারের পরে নিয়মিত রাতে যখন ঘুমাতে যাবেন তার পূর্বে একটু হালকা গরম পানিতে পরিষ্কার নরম কাপড় নিয়ে বাচ্চার মাড়ি থেকে হালকা ভাবে মুছে দিন।
২। কিছুদিন পর বাচ্চার যখন প্রথম একটি দাঁত দেখা যাবে নিয়মিত পরিষ্কার করতে থাকুন। বেবি টুথ ক্লিনিং যেই ব্রাশগুলো পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করে আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে ধীরে ধীরে বাচ্চার দাঁতকে পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন।
৩। বাচ্চাকে সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা শেখানোর টিপস হিসেবে ফ্লোরাইড নেই এইরকম টাইপের টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে যার চালের দানা পরিমাণ পেস্ট নিয়ে বাচ্চাকে ব্রাশ করা শেখাতে হবে।
৪। দুই বছর বয়সের পর থেকে একটি বাচ্চা ধীরে ধীরে থুথু ফেলা শুরু করে তাই তাকে তখন থেকেই অল্প করে পানি দিয়ে কুলি করতে দেওয়া যাবে না সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সে কোনভাবেই পানির সাথে পেস্ট গিলে না ফেলে।
৫। বাচ্চার বয়স যখন তিন বছর হবে তখন মটরদানা সমপরিমাণ পেস্ট নিয়ে ব্রাশ করতে দিবেন এবং বাচ্চার বয়স আট হওয়া পর্যন্ত বাচ্চার সাথে থাকতে হবে যেন সে পেস্ট গিলতে না পারে।
৬। বেবি বোতল ক্যারিস নামে একটি রোগ রয়েছে যা বাচ্চাদের হয়ে থাকে এটা মূলত বাচ্চাকে যখন অনেক বেশি পরিমাণে ফিডার দিয়ে রাখা হয়। একটি বাচ্চা দীর্ঘ সময় ধরে যখন ফিডার খায় তখন তার সাথে চিনি মেশানোর কারণে বাচ্চার দাঁতের সংস্পর্শে ক্যারিজের সৃষ্টি করে ফিডার খাওয়ানোর কারণে হয়ে থাকে।
৭। বাচ্চার যখনই একটু বড় হয়ে যাবে তখন তাকে ফ্লস করা শেখাতে হবে যেমন বাচ্চার দুই দাঁতের ফাঁকে যখন খাবার আটকে যাবে তখন মাঝে মাঝে সেটি ব্রাশ করলেও দূর নাও হতে পারে সেই ক্ষেত্রে দাঁতের ক্ষয় যাতে না হয় তার জন্য ফ্লস দিয়ে পরিষ্কার করা শেখাতে হবে।
৮। বাচ্চা যখনই ব্রাশ করতে যাবে তখন তাকে উপর থেকে উপরের দাঁতগুলো উপর থেকে নিচে এবং নিচের দাঁতগুলোকে নিচের দিক থেকে উপরের দিকে ব্রাশ করা দেখাতে হবে যেন বাচ্চাটির মাড়িতে কোন প্রকার ক্ষয় না হয়।
৯। একটি বাচ্চা যখন ধীরে ধীরে বড় হবে তখন ছোট থেকেই তাকে শেখাতে হবে সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করতে সে যেন কোনভাবেই ভুল না করে।
১০। বাচ্চার দাঁতের পাশাপাশি জিহ্বাও যেন সে পরিষ্কার রাখে সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। ব্রাশ করার সময় জিহ্বা হালকা করে ঘষে পরিষ্কার করার চেষ্টা করতে হবে। জিহ্বা পরিষ্কার করার জন্য আলাদা করে টুলস পাওয়া যায় সেগুলোও নিয়ে নিতে পারেন।
১১। মাঝে মাঝে আপনি বাচ্চার দাঁতগুলো নিজেই একটু চেক করে নিবেন হলুদ বা বাদামি ধরনের কোন লক্ষণ পাওয়া যায় কিনা সেটাও খেয়াল রাখবেন আর কোন সমস্যা মনে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন।
১২। বাচ্চার যখন আসল দাঁত বের হয়ে যাবে তখন তার মুখে দুধ দাঁত এবং আসল দাঁত দুটোই থাকবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই বাচ্চাকে দাঁতের যত্ন নেয়া ধীরে ধীরে শেখাবেন।
১৩। বাচ্চাদের একটি অভ্যাস হল তারা সব সময়ই বৃদ্ধাঙ্গুলি চুষতে থাকে, তাই বাচ্চাটি যখন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে বিশেষ করে তিন বছর পর থেকেই তার আসল দাঁতগুলো বের হতে থাকে। বাচ্চাদের দাঁত আঁকাবাঁকা উঠতে পারে সেই ক্ষেত্রে অর্থডোন্টিক এর কাছে নিয়ে যেতে পারেন।
১৪। ছোট বাচ্চারা যেহেতু এই সময়ে অনেক হোঁচট খেতে পারে তাই যদি কখনো বাচ্চারা পড়ে গিয়ে দাঁত ভেঙে ফেলে অথবা দাঁত দিয়ে জিহবা কেটে যায় তাহলে তার স্বাস্থ্যের উপরে অনেক বেশি প্রভাব পড়তে পারে। তাই তাকে সব সময় মাউথ গার্ড দিয়ে রাখতে হবে। যা একধরনের সিলিকনের ছাঁচ দিয়ে তৈরি যা বাচ্চার দাঁতকে নরম কাভারিং এর মত গার্ড দিয়ে থাকে।
১৫। বাচ্চাকে সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা শেখানোর টিপস জেনে শাকসবজি, ভিটামিন সি এবং টক জাতীয় ফল বাচ্চাকে খাওয়ানো শিখাতে হবে যেন বাচ্চার শরীরে কখনো ভিটামিন সি এর অভাব দেখা না দেয়।
১৬। বাচ্চাদেরকে ছয় মাস থেকে সাত মাস পর নরমাল চেকআপ করানোর জন্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এইভাবে নিয়মিত যদি আপনি বাচ্চার দাঁতের যত্ন নিয়ে থাকেন তাহলে দাঁতের সমস্যা থেকে অনেকটুকুই রক্ষা পাবে।
দুধ দাঁতের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা
অনেকেই আপনারা দেখা যায় বাচ্চাদের যখন দুধ দাঁত করতে থাকে তখন সেই ব্যাপারে খুব উদাসীন হয়ে থাকেন গুরুত্ব দিতে চান না কিন্তু দুধ দাঁত খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ দুধ দাঁত দিয়ে খাবারগুলো চিবাতে হয়। আর এই দুধ দাঁতেরই যদি পোকা ধরে যায় তাহলে অনেকেই চিকিৎসা করাতে চান না।
আরও পড়ুনঃ রোজা রেখে ব্রাশ করার নিয়ম দেখুন
কারণ বাচ্চারা ভয় পেয়ে চিৎকার চেঁচামেচিও করতে পারে বাচ্চাকে যদি সঠিক সময় চিকিৎসা না দিয়ে থাকেন তাহলে বাচ্চার অনেক সময় বিপদ হয়ে যায়। দাঁতে ব্যাকটেরিয়ার কারণে অনেক সময় দাঁতে পোকা হয় যা অনেক বেশি বেড়ে গেলে সুস্থ দাঁতকেও অসুস্থ করে দিতে পারে। তাই পার্মানেন্ট দাঁতকে ভালো রাখতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাহায্য নিবেন।
বাচ্চাদের দাঁত ব্রাশের অভ্যাস গড়ে তোলার উপায়
আপনার বাচ্চাটি যখন একটু একটু করে বড় হওয়া শুরু করবে তখনই তাকে ধীরে ধীরে দাঁত ব্রাশের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যেন বাচ্চাটি নিজের আগ্রহে ব্রাশ করে সেই বিষয়ে আপনাকেই সচেতন হতে হবে। কারণ বাচ্চা অবস্থায়ই খুব ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করা শেখানোর অভ্যাস করা যায়।
আপনি যদি বাচ্চাটিকে প্রাথমিকভাবে বাচ্চাকে সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা শেখানোর টিপস এর অভ্যাস গড়ে তোলেন তাহলে সে যখন বড় হবে তখন তার দাঁত ব্রাশ করা নিয়ে কোন আলসেমি কাজ করবে না। বাচ্চাদের দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তোলার উপায় জেনে নিন।
- বাচ্চাকে অবশ্যই দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ করানো শেখাতে হবে যার সাথে সাথে বাচ্চারা যেন কোন কিছু খেলেও মুখ ধুয়ে ফেলার অভ্যাসটি করে ফেলে।
- আপনার বাচ্চার সাথে আপনাকেও দাঁত ব্রাশ করতে হবে যাতে বাচ্চারা তা দেখে অনেক বেশি আগ্রহ অনুভব করে যে সেও দাঁত ব্রাশ করতে চায়।
- কিছুদিন যাওয়ার পর বাচ্চাকে নিজে ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। যখন বাচ্চাকে ব্রাশে টুথপেস্ট লাগিয়ে দিবেন তখন সে যেন কোন ভাবেই টুথপেস্ট খেয়ে না ফেলে সেই দিকে আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।
- বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ফাস্টফুড টাইপের খাবার বাচ্চারা অনেক বেশি পছন্দ করে থাকে সাথে চকলেট, মিষ্টি বা অন্য যেকোনো ধরনের খাবার যখনই দিবেন তখন অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চাটি যেন কোন খাবারের উপরে আসক্ত হয়ে না পড়ে।
- কারণ নিয়মিত কোন খাবারের উপর আসক্ত হয়ে গেলে দাঁতের জন্য তা খুবই বিপদ হতে পারে। বাচ্চাকে যাই খাওয়াবেন খাওয়ার পরে সাথে সাথে যেন সে মুখ ধুয়ে ফেলে সেই অভ্যাসটি গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন।
- রাতে খাবার খাওয়ার পর সাথে সাথেই যেন বাচ্চারা ঘুমিয়ে না পড়ে। সেই দিকে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কারণ দাঁত ব্রাশ না করে ঘুমানোর অভ্যাস করা যাবে না।
- ছোট থেকেই বাচ্চারা যেন রাতের দাঁত ব্রাশ করে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তোলে সে ব্যাপারে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে।
শেষকথা
এই আর্টিকেলে আপনার বাচ্চাকে সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা শেখানোর টিপসগুলো দেখিয়েছি যা আপনার বাচ্চাকে সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে। আপনার যদি বিস্তারিত ভালো লেগে থাকে নিচের অংশে মন্তব্য করে আমাদের সাথেই থাকুন। ২৫২৭৫
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url