গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি - গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্নের উপায়

আপনার কি জানা আছে যে গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি হয়ে পড়ে। পোস্টে আজকে গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি তা না জানলে পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন গর্ভকালীন সময়ে হওয়ায় দাঁতের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে।
আপনার দাঁতে ছোট ইনফেকশন হয়ে বড় ধরনের রোগ হয়ে যেতে পারে এবং এই গর্ভকালীন সময়ে আপনি যদি সচেতন না থাকেন এবং গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি তা নিয়ে যদি অবহেলা করেন তাহলে আপনার গর্ভকালীন শিশু মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে যায়। এই সময়ে অনাগত বাচ্চার কথা ভেবে আপনাকে দাঁতের যত্নে অনেক সতর্ক হওয়া জরুরি।

পেজ সূচিপত্র

গর্ভাবস্থায় দাঁত ক্ষয় হওয়ার ঝুঁকি

গর্ভাবস্থায় দাঁত ক্ষয় হওয়ার ঝুঁকি একজন মায়ের গর্ভাবস্থায় ক্যাভিটিতে ঝুঁকি থাকার লক্ষণ দেখা যায় বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি? এই সময় যেহেতু মহিলারা কার্বোহাইড্রেট অনেক বেশি গ্রহণ করে থাকে যার ফলে দাঁতের ক্ষয় অনেক বেড়ে যায় মাঝে মাঝে মর্নিংএ সিকনেস এর কারণে বমি বমি ভাব হয়ে যায়।

যার ফলে মহিলারা এই সময় দাঁতের যত্ন নিতে অবহেলা করে ফেলে কিন্তু এই সময় দাঁতের মাড়ির দাঁত অ্যাসিডের সংস্পর্শে অনেক বেশি চলে আসে এবং দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যায়। যদি আপনি নিয়মিত দাঁত ব্রাশ না করেন এবং নিজের দাঁতকে পরিষ্কার না রাখেন তাহলে এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া খুব কঠিন হয়ে যায়।
বিশেষ করে আপনার বাচ্চার ওজন কমে যাওয়া এবং ডায়বেটিস ছাড়াও আরও অনেক ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। আর এই সমস্যাগুলো গর্ভাবস্থায় যদি আপনার দাঁতের জন্য ঠিকভাবে না নিয়ে থাকেন তাহলে এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে এবং আপনার দাঁত ক্ষয় হয়ে ঝুঁকিও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।

যদি আপনি এই ঝুঁকি থেকে নিজেকে বাঁচাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরের রক্ত চলাচল ক্ষমতাকে বাড়াতে হবে, হরমোনের কার্যক্ষমতাকে বাড়াতে হবে এবং দাঁতের মাড়িতেও রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর জাতীয় খাবার খেতে হবে যা আপনার এই দাঁতের ঝুঁকি বৃদ্ধি করা কমানো থেকে সাহায্য করবে।

গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কিভাবে নেবেন

গর্ভাবস্থায় আপনার নিজের দাঁতের যত্নকে কখনোই অবহেলা করা যাবে না কারণ অন্যান্য সময়ের চেয়ে এখন আরও বেশি আপনাকে দাঁতের প্রতি যত্ন নিতে হবে। দাঁতের যত্নে অবহেলা হলে এই চাপ আপনার গর্ভের সন্তানের উপর যেয়ে পড়বে। কিছু বিষয় রয়েছে সেগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে মেনে চলেন তাহলে গর্ভাবস্থায় আপনি নিজেকে অনেক বেশি সুস্থ রাখতে পারবেন। 

গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি? চলুন জেনে নেওয়া যাক, গর্ভাবস্থায় আপনি আপনার দাঁতকে কিভাবে সুস্থ রাখতে পারবেন। আপনি যখনই গর্ভবতী হবেন তখন থেকেই আপনাকে দাঁতের যত্ন শুরু করতে হবে এবং গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্নের উপায় জানতে হবে যেমন,

১। স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণঃ
গর্ভকালীন অবস্থায় আপনাকে অবশ্যই খুবই পুষ্টিকর সুষম খাবার খেতে হবে। এই সুষম খাদ্য আপনার শরীরের পুরো দৈহিক কাঠামোকে ভালো রাখবে এবং আপনার দাঁতের মাড়িকেও ভালো রাখবে। আপনি যদি আপনার দাঁতের মাড়িকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত।

কারণ আপনার গর্ভকালীন সময়ে আপনার অনাগত শিশু গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস থেকেই শুরু হয় যার ফলে এই স্বাস্থ্যকর খাবার আপনার শিশুর দৈহিক কাঠামো বৃদ্ধিতেও ভালো হবে। যেমন এই সময়ে আপনি অনেক বেশি করে দুধ, ডিম, দই, পনির, বিভিন্ন শাকসবজি ও ফলমূল ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন।

২। অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণঃ
আপনার বাচ্চা গর্ভে থাকা অবস্থায় আপনাকে অবশ্যই ক্যালসিয়াম অনেক বেশি খাওয়া উচিত। এই ক্যালসিয়াম আপনার দাঁতকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তোলে এবং সুস্থ রাখে। দাঁতের মাড়ির ও শরীরের বিভিন্ন হাড় ও মেরুদন্ডকে মজবুত রাখে। তাই অনেককেই এই সময়ে গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়াম গ্রহণের জন্যে পরামর্শ দিয়ে থাকে।

৩। মুখ ধুয়ে ফেলুনঃ
আপনি যদি খাবার খাওয়ার পরে গর্ভাবস্থায় আপনার মুখ ভালো করে ব্রাশ না করেন তাহলে মুখের ভিতর ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে যা খুব জটিল পর্যায়ে চলে গেলে আপনার গর্ভের শিশুর সমস্যা হতে পারে। কারণ মাড়ির মধ্যে যদি কোন ইনফেকশন হয় তাহলে তা ধীরে ধীরে ক্ষতির দিকে যায়।

৪। দাঁতকে ফ্লস করুনঃ
মনে করুন, আপনি খাবার খাওয়ার পর যদি আপনার মুখ ভালো করে পরিষ্কার না করেন তাহলে সেটি খুব সমস্যার কারণ। প্রতিবার খাবারের পর আপনাকে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং পাশাপাশি আপনার দাঁতকেও ফ্লস করতে হবে।

আপনার গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্নের উপায় জেনে নিয়ে দাঁতের ফাঁকে যে ময়লাগুলো আটকে যায় সেগুলো ফ্লস করার মাধ্যমে দূর হয়ে যায় যা মাড়িতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হওয়া থেকে রক্ষা করে।

৫। অত্যাধিক ফ্লোরাইড যুক্ত টুথপেস্ট এড়ানোঃ
অনেক বেশি ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দাঁতের জন্য ভালো নয়। গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি? যদিও ফ্লোরাইড আপনার দাঁত এবং মাড়িতে অনেক বেশি শক্তি সরবরাহ করে থাকে তারপরেও যদি আপনার দাঁতে অতিরিক্ত ফ্লোরাইড পড়ে যায় তাহলে সেটি ক্ষতিরও কারণ হয়। 

আপনি যখনই ব্রাশ করতে যাবেন তখনই আপনার টুথপেস্ট এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে যেন ফ্লোরাইড আপনার টুথপেস্ট এবং মাউথওয়াশে অতিরিক্ত না থাকে। কারণ অতিরিক্ত ফ্লোরাইড আপনার দাঁতের মাড়িকে যদি ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে তাহলে তা সারানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে।

৬। গর্ভাবস্থার আগে চেকআপঃ
গর্ভাবস্থায় আপনার দাঁত যদি আপনি সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পূর্ব থেকেই চিকিৎসকের কাছে চেকআপ করা শুরু করতে হবে। এই অবস্থায় পরিকল্পনা করে আপনাকে দাঁতের চিকিৎসা করতে হবে। এই সময় আপনার দাঁতের মাড়িতে যদি জটিল কোন সমস্যা হয়ে যায় তাহলে সময়মতো চিকিৎসকের কাছে যেয়ে সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করতে পারেন।

৭। অতিরিক্ত সমস্যায় ডেন্টিস্ট দেখানঃ
আপনার যদি কোন দাঁতের সমস্যা হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডেন্টিস্টের কাছে যেতে হবে। কোনভাবেই অবহেলা করা যাবেনা আপনাকে নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে যেন সমস্যাকে নির্ণয় করতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে পারেন।

৮। ব্রাশ করার মাধ্যমেঃ
যদি নিয়মিত ব্রাশ করার অভ্যাস না থাকে গর্ভাবস্থায় তাহলে দাঁতের মাড়ির ফাঁকে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয় যা আপনার দাঁতের মাড়িতে ফোলাভাবও সৃষ্টি করতে পারে এবং রক্তপাতও হতে পারে। প্রতি তিনমাস পর পর আপনাকে নতুন ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন সাথে হালকা ব্রাশ নিতে পারেন এবং সাথে টুথপেস্টও করতে পারেন।

৯। প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুনঃ
আপনি যখন গর্ভবতী হবেন তখন বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি কারক খাবার খাওয়ার ইচ্ছা করতে পারে। কিন্তু চিকিৎসকরা গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি বলে থাকেন এই সময়ে আপনাকে প্রক্রিয়াজাত করে খাবারগুলো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে থাকেন।

যেমন মিষ্টি অথবা চকলেট এই জাতীয় খাবার আপনার দাঁতের মাড়িতে ক্ষতি করতে পারে কারণ মুখে যে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয় তা চিনিকে অ্যাসিডে পরিণত করে দাঁতের ক্ষতি করে এবং সাদা আটা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকেও আপনাকে বিরত থাকতে হবে।

১০। সংক্রমণ থেকে নিজেকে সচেতনঃ
দাঁতের মাড়ির বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে যদি গর্ভাবস্থায় আপনি নিজেকে বাঁচাতে চান তাহলে অবশ্যই নিজেকে সচেতন রাখতে হবে। মাড়িতে ক্ষতি হতে পারে এই জাতীয় কোন খাবার খাওয়া যাবে না এবং নিজেকে সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে বিশেষ করে মুখের ভিতর এবং নিয়মিত আপনাকে ব্রাশ করতে হবে।

গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি 

কখনো কি ভেবে দেখেছেন, গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি? এই গর্ভকালীন সময়ে বিশেষ করে আপনি এবং আপনার সন্তানের জন্য দাঁতের যত্ন নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি কিন্তু আপনি যদি এই সময় দাঁতের যত্ন নিতে অবহেলা করেন তাহলে এই সময়ে শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে আপনার দাঁতের মাড়ি ফোলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্নের উপায় না জানলে আপনার দাঁতের মাড়ির গোড়া থেকে রক্ত পড়তে পারে যাকে জিনজিভাইটিস নামে ডাকা হয়। এই সময় আপনি যদি দাঁতের যত্নের ব্যাপারে সচেতন থাকেন তাহলে এই সমস্যাগুলো থেকে নিজেকে নিরসন রাখা সম্ভব। আপনি কোন ডেন্টিস্টের মাধ্যমে আপনার যদি কোন সমস্যা হয় সেগুলো দেখাতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ কোন ধরনের ভিটামিন কি কাজ করে

কারণ এই সময়ে আপনি ডেন্টিস্ট দেখালে আপনার গর্ভকালীন অবস্থার কোনরকম ক্ষতি হবে না। অবশ্যই এর পূর্বে আপনি একটি প্রসূতি বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে নিবেন। আর যদি আপনি কোন ডাক্তারের কাছে না যান তাহলে আপনার সমস্যা জটিল হয়ে গেলে আর কিছুই করার থাকে না। 

আবার অনেকেই দেখা যায়, পরিকল্পনা করে বাচ্চা নেই সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ডাইবেটিস থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রেখে দাঁতের যত্ন নিতে হবে এবং প্রয়োজনে একজন ডেন্টিস্ট দেখিয়ে নিবেন। আশা করছি, গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি সে বিষয়ে একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্নের উপায়

গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্নের উপায় জানাটা খুবই জরুরি কারণ এই অবস্থায় শরীরে অনেক বেশি হরমোনের পরিবর্তন হয়ে যায় যার ফলে মাড়ি ও দাঁতের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই অবস্থায় অবশ্যই আপনার দাঁতের যত্ন নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্নের উপায় জেনে আপনি যদি দাঁতকে পরিষ্কার রাখেন তাহলে আপনার গর্ভকালীন শিশুও সুস্থ থাকবে।

আপনি যদি গর্ভাবস্থায় মাড়ির সঠিক যত্ন না নেন তাহলে আপনার শিশুর অকাল জন্মের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। আপনার শিশুর ওজনও কম হতে পারে যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। আপনার মুখে স্বাস্থ্য যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনার অনাগত শিশুও ভালো থাকবে কারণ মুখের সাথে তার একটি সম্পর্ক রয়েছে।

ব্যাকটেরিয়া জনিত বিভিন্ন সমস্যার কারণে নবজাতক শিশুর ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময়, পেরিওডন্টাল রোগ এর ফলে দাঁতও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই গর্ভাবস্থায় দাঁতে হলদে ভাব হয় এবং বিভিন্ন ধরনের প্লাক জমে যায় যার ফলে দাঁতগুলো দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্নের উপায় না জানলে ক্যালসিয়ামের অভাবে দাঁত ও মাড়ি যখন দুর্বল হয়ে যায় এবং অসুস্থ হলে অনেক সময় বমিও চলে আসতে পারে। এছাড়াও যদি আপনার ঘন ঘন রিফ্লাক্স হয় এবং যদি বমি হয়ে যায় তাহলে দাঁতের এনামেলের ক্ষতি হয়। সন্তান যখন জন্ম হয় তখন কোন কোন নারীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও জটিল হয়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় দাঁতের চিকিৎসা কি নিরাপদ

গর্ভাবস্থায় আপনি দাঁতের চিকিৎসা করাতে পারেন কিন্তু আপনার শরীরের অন্যান্য যেকোন চিকিৎসার জন্য আপনি সন্তান জন্মদানের পর পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। কারণ গর্ভাবস্থায় আপনার দাঁতের চিকিৎসা করানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার। প্রথম ট্রাইমেস্টারে গর্ভাবস্থায় ভিতরের ভ্রুনগুলো অনেক বেশি সংবেধনশীল থাকে।

গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি তা জানলে বুঝতে পারবেন ভ্রুনের বিকাশ ঘটাতে তা সাহায্য করে থাকে। যখনই দাঁতের চিকিৎসা করানোর জন্য ডেন্টিস্টের কাছে যাবেন তখন অবশ্যই ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে একজন গর্ভকালীন মায়ের ক্ষেত্রে শুয়ে থাকাটাও অনেক বেশি কষ্ট হয়ে যায় তাই খুব বেশি যদি জরুরি হয়ে যায় তাহলে দাঁতের চিকিৎসা করাতে হবে।
কারণ এই সময়ে দাঁতের সমস্যার কারণে গর্ভস্থ শিশুর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি তা জেনে দাঁতের সমস্যাকে যদি নির্ণয় করতে যায় তাহলে ডেন্টাল এক্সরেরও দরকার হতে পারে। তবে এই ডেন্টাল এক্সরে অবশ্যই গর্ভবতী মায়ের জন্য নিরাপদ হতে পারে কারণ মুখের এক্সরে হওয়ার কারণে গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতি না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্নের উপায় জেনে এই সময় বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকলে আপনার বাচ্চার বৃদ্ধির উপর কোন প্রভাব ফেলবে না। আপনি যদি নিজেকে পরিপূর্ণভাবে সুস্থ রাখেন তাহলে আপনার পক্ষে গর্ভকালীন একটি সুস্থ বাচ্চাকে জন্ম দেওয়া সম্ভব তাই এই সময়ে গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন নেয়াটাও জরূরি।

গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্নে কি কি করণীয়

গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি তা জেনে আপনি যদি গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের কাছে না যান তাহলে বাসায় বসেই আপনার কিছু করণীয় রয়েছে তা আপনি যদি খুব ভালোভাবেই খেয়াল করেন তাহলে বুঝতে পারবেন। চলুন জেনে আসি, গর্ভাবস্থায় তাদের যত্নে কি কি করণীয় রয়েছে।
  • অবশ্যই সকালে এবং রাতে দুইবার দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
  • তিন মাস পর পর আপনার ব্যবহৃত টুথব্রাশ বদলাতে হবে।
  • যদি এই অবস্থায় কখনো বমি হয়ে যায় তাহলে ভালোভাবে কুলি করে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।
  • অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
  • পুষ্টিকর খাবার, ফলমূল, দুধ, ডিম, মাংস ও শাক-সবজি খেতে হবে।
  • সফট ড্রিংকস গুলোতে যেহেতু চিনির পরিমাণ বেশি থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনি এই ধরনের কোমল পানীয় গর্ভাবস্থায় খাওয়া থেকে বিরত থাকেন।
  • ফাস্টফুড জাতীয় খাবার থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে।
  • ধূমপান করা থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে বিশেষ করে তামাক সেবন যদি করার অভ্যাস থাকে তাহলে নিজেকে দূরে রাখুন।

শেষকথা

এই পোস্টে আপনাদের জন্য গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি এই বিষয়ে অত্যন্ত সুন্দরভাবে বিস্তারিত লিখা হয়েছে। আপনাদের কাছে যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করুন এবং আমাদের সাথেই থাকুন। ২৫২৭৫

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url